English

34 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
- Advertisement -

সবার চিকিৎসা নিশ্চিত করুন: যক্ষ্মা ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে

- Advertisements -
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কৌশলপত্রে বলা হয়েছিল, ২০২৫ সালে যক্ষ্মা (টিবি) রোগীর সংখ্যা ২০১৫ সালের তুলনায় ৭৫ শতাংশ কমিয়ে আনা হবে। বাস্তবে হয়েছে উল্টোটা। দেশে গত ৯ বছরে শনাক্ত যক্ষ্মা রোগী ৩০.৫৫ শতাংশ বেড়েছে। আর শনাক্তের বাইরে রয়েছে অন্তত ২০ শতাংশ রোগী।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য মতে, ২০১৫ সালে শনাক্ত রোগী ছিল দুই লাখ ৯ হাজার ৪৩৮ জন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় তিন লাখ এক হাজার ৫৬৪তে, যার মধ্যে দুই হাজার ৪৩৭ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। আরো উদ্বেগের বিষয় যে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা (এমডিআর) রোগীর সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে, গত বছর এই সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৭২৯।
এমন পরিস্থিতিতে রবিবার অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস।
এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল, হ্যাঁ, আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মা নিয়ে ২০২২ সালে যে বৈশ্বিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, ২০২১ সালে বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৪২ হাজার ব্যক্তির, যা বাংলাদেশে কয়েক বছরে করোনা মহামারিতে মোট মৃত্যুর চেয়েও অনেক বেশি। অথচ সেই তুলনায় যক্ষ্মা নিয়ে জনসচেতনতা বা সাবধানতা নেই বললেই চলে। আরো ভয়ংকর দিকটি হলো যক্ষ্মা জীবাণুর ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠা।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শনাক্তদের মধ্যে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার নমুনা পাওয়া যাচ্ছে ১ শতাংশ রোগীর দেহে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে, এই হার আরো বেশি, ২ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। জীবাণুর ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অন্যতম কারণ, চিকিৎসার কোর্স বা পূর্ণ মেয়াদ শেষ না করা ও নিয়মিত ওষুধ না খাওয়া।
এভাবে কোনো রোগী ওষুধ প্রতিরোধী হলে তার মাধ্যমে অন্য যাদের শরীরে রোগ ছড়াবে, তারাও ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠবে। ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণুতে আক্রান্ত যক্ষ্মা রোগীকে সারিয়ে তোলা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার একটি প্রধান কারণ বিপুলসংখ্যক যক্ষ্মা রোগীর রোগ শনাক্ত না হওয়া। রোগ শনাক্ত হলে চিকিৎসার মাধ্যমে প্রায় ৯৭ শতাংশ রোগী ভালো হয়ে যায় এবং কিছুদিন ওষুধ খাওয়ার পরই এই রোগী থেকে অন্যরা সংক্রমিত হয় না।
কিন্তু যারা চিকিৎসার বাইরে থাকে, তারা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জীবাণু ছড়াতে থাকে। একজন থেকে বহুজনে রোগ ছড়ায়। এ জন্য রোগ শনাক্ত করার জন্য জাতীয়ভাবে স্ক্রিনিং বা রোগ যাচাই অভিযান চালাতে হবে।
বাংলাদেশে যক্ষ্মার চিকিৎসা বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। তার পরও যক্ষ্মার এমন বিস্তার দুঃখজনক। এ জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সবাইকে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন