English

33 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
- Advertisement -

স্বচ্ছতা নিশ্চিত করুন: ই-জিপিতে ত্রিমুখী যোগসাজশ

- Advertisements -
২০১১ সালে সরকার ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থা বা ই-জিপি চালু করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-জিপি ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধন করে বলেছিলেন, ই-জিপি চালুর ফলে টেন্ডার নিয়ে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধ হয়ে যাবে। দেশে আর টেন্ডারবাজি থাকবে না। সরকারি ক্রয়ে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
সেই সময়ের বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ই-জিপি বা ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থা চালু করে সরকার একটি জরুরি ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিল। অনলাইনে ঠিকাদার রেজিস্ট্রেশন, টেন্ডার আহ্বান, টেন্ডার দাখিল, টেন্ডার উন্মুক্তকরণ, মূল্যায়ন, অনুমোদন ও কার্যাদেশ প্রদানের ব্যবস্থা সেই সময়ে ছিল একটি বড় ধরনের পরিবর্তন। এই পরিবর্তন আনা হয়েছিল সরকারি ক্রয়ে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।
কিন্তু সরকারি ক্রয়ে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা কি নিশ্চিত করা গেছে? বাস্তবে কি তা সম্ভব হয়েছে? ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক গবেষণা থেকে জানাচ্ছে, বাংলাদেশে ই-জিপি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি। বরং সরকারি বিভাগ, রাজনৈতিক প্রভাবশালী গোষ্ঠী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ত্রিমুখী যোগসাজশ নতুন মাত্রা পেয়েছে। গত মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশে ই-সরকারি ক্রয় : প্রতিযোগিতামূলক চর্চার প্রবণতা বিশ্লেষণ (২০১২-২০২৩)’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ই-জিপির ফলে ক্রয়প্রক্রিয়া সহজতর হয়েছে, প্রক্রিয়াসংক্রান্ত ব্যয় কমেছে, তবে দরপত্র জমা ও কার্যাদেশপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাজার দখল ও একচেটিয়াকরণ অব্যাহত রয়েছে এবং বাস্তবে তার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়েছে।’ ই-জিপির মূল লক্ষ্য উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সর্বনিম্ন মূল্য ও সর্বোচ্চ মান নিশ্চিতের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ করছে না টিআইবি।তাদের মতে, প্রতিযোগিতামূলক স্বচ্ছ ক্রয় এখনো পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।

ই-জিপিকে যোগসাজশমুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক করার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য টিআইবি ছয়টি সুপারিশ করছে। এর একটি হচ্ছে, দরপত্র পদ্ধতি অনুসরণের বর্তমান ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ঢেলে সাজিয়ে সরকারি ক্রয় আইন, ২০০৬-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা; বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ নিশ্চিতে এবং সম্ভাব্য যোগসাজশ বন্ধে একক দরপত্রপ্রবণ ক্রয় অফিসগুলোকে নজরদারির মধ্যে আনা। স্বচ্ছ, জবাবদিহিপূর্ণ, পক্ষপাতহীন, প্রতিযোগিতামূলক ও দুর্নীতিমুক্ত সরকারি ক্রয়ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ই-জিপির মাধ্যমে তৈরি হওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে সরকার ব্যবস্থা নেবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন