English

31 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
- Advertisement -

স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মবিরতি: সংকট সমাধানে উদ্যোগ নিন

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

করোনার টিকা নিয়ে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়ে গেছে। বলা হচ্ছে, টিকা প্রাপ্তির দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব। সরকার দেশের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আমাদের বিশ্বাস, সরকার সব সম্ভাব্য উৎসর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সময় ও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলে মানুষের জন্য টিকা সংগ্রহে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই সফল হবে। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গঠিত টিকা সমন্বয় উদ্যোগ বা কোভ্যাকসের শর্ত ও নীতিমালা অনুসারে বাংলাদেশ মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ টিকা কোভ্যাকস থেকে পাবে।
সেই হিসাবে তিন কোটি ৪০ লাখ মানুষের জন্য টিকা আসবে বাংলাদেশে। দুই ডোজের টিকা হলে লাগবে ছয় কোটি ৮০ লাখ ডোজ। পুরোটা একবারেই আসবে না, আসবে কিস্তিতে কিস্তিতে। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। টিকা সংরক্ষণ, পরিবহন ও অগ্রাধিকার নির্ধারণ, ক্রয়পদ্ধতি, টিকা প্রয়োগের কর্মী ও তাঁদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি গাইডলাইন তৈরির কাজ চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের সহায়তায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই কাজ করছে। বিশেষজ্ঞরাও আছেন এই কাজের সঙ্গে। চলছে গাইডলাইন তৈরি ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনার কাজ চলছে বলে খবরে প্রকাশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকাকেন্দ্রিক গাইডলাইন ধরেই এগোচ্ছে এই কার্যক্রম। দ্রুতই প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি শেষ করতে হবে; কিন্তু দেখা দিয়েছে নতুন বিপত্তি। করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের প্রস্তুতির মধ্যেই স্বাস্থ্য বিভাগের প্রায় ২৬ হাজার মাঠকর্মী সুনির্দিষ্ট দাবি নিয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবিগুলোর অন্যতম ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন ১১, ১২, ১৩তম গ্রেডে নিতে হবে।
তাঁদের সমপর্যায়ে অন্য সেক্টরের কর্মীদের পদোন্নতি দিয়ে একাধিক ধাপ ওপরে নেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের যৌক্তিক দাবিগুলো সরকারের উচ্চপর্যায়ের নজরেও রয়েছে, যা বিবেচনায় নেওয়ার জন্য কাজও চলছে।
কিন্তু এ জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন। অন্যদিকে আন্দোলনরত স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, এর আগেও বহুবার এমন আশ্বাস পেয়েছেন তাঁরা। ওদিকে প্রায় পাঁচ হাজার মাঠকর্মীর পদ শূন্য আছে। এসব সমস্যা থেকে সহসা উত্তরণ না ঘটলে সামনে করোনার টিকাদান কার্যক্রমেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি পূরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন