English

28 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

রাজধানী ঢাকায় ৯৪ শতাংশই কিউলেক্স মশা

- Advertisements -

রাজধানী ঢাকায় ৯৪ শতাংশের বেশি কিউলেক্স মশা, বাকি পাঁচ শতাংশের বেশি মশা এডিস প্রজাতির।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাক-মৌসুম জরিপের ফলাফলে এ তথ্য জানায়।

অধিদফতরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে জানানো হয়, গত ২৩ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিন ধরে প্রাক-মৌসুম জরিপ চালানো হয়েছে ঢাকার ৯৮টি ওয়ার্ডের ১১০টি স্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪০টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪০টি, মোট ৮০টি স্থানে পূর্ণাঙ্গ মশার ধরার ফাঁদ পাতা হয়।

অধিদফতর বলছে, এসব ফাঁদে দুই হাজার ৮১৪টি মশা ধরা পড়ে। এরমধ্যে দুই হাজার ৬৭১টি কিউলেক্স ও অন্যান্য প্রজাতির মশা। এডিস মশা পাওয়া যায় ১৪৩টি।

ফাঁদে যেসব মশা ধরা পড়েছে তার মধ্যে ৯৪ দশমিক ৯ শতাংশ কিউলেক্স মশা। বাকি পাঁচ দশমিক এক শতাংশ এডিস মশা।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ডিএসসিসি এলাকায় ১০৬টি এবং ডিএনসিসি এলাকায় ৩৭টি এডিস মশা পাওয়া গেছে। উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় আবার কিউলেক্স মশার ঘনত্ব বেশি। উত্তরে ১৫৪২টি এবং দক্ষিণে ১১২৯টি কিউলেক্স মশা পাওয়া গেছে।

এডিস মশা প্রাণঘাতী ডেঙ্গু রোগের জন্য দায়ী। আর কিউলেক্স মশা ফাইলেরিয়া, ম্যালেরিয়ার মতো রোগের জন্য দায়ী।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের জরিপ অনুযায়ী, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এডিস মশার ঘনত্বের পরিমাপক ব্রুটো ইনডেক্স কিছুটা বেশি।

ডিএসসিসির ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এছাড়া ৩৮ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে এডিস মশার ঘনত্ব ২০ শতাংশ।

মশার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হলে ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বিবেচনা করা হয়।

ডিএসসিসির ২১, ১৫, ২৩, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স ১০ শতাংশের বেশি এবং ৮, ১৪, ২০, ৩৫, ৪৬ এবং ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ১০ শতাংশ।

ডিএনসিসি’র ২০, ৩২ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ১০ থেকে ১৯ শতাংশের মধ্যে। এছাড়া ১০, ১৩, ১৬,২৭, ৩০ এবং ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স ১০ শতাংশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা এবার হতে দেওয়া যাবে না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে।

“এজন্য মশার প্রজননক্ষেত্র তৈরি হতে দেওয়া যাবে না। মশা যদি ডিম না পাড়ে তাহলে ডেঙ্গু ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা এমনিতেই কমে আসবে। আমরা এই জায়গাটায় সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।”

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন, অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ডা. বে-নজীর আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন