English

38 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য: কর না দিতে যে কৌশলের আশ্রয় নেন ট্রাম্প

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি বিভিন্ন কারণে বছরজুড়েই গণমাধ্যমের শিরোনামে থাকেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১০ বছর কর না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এভাবে তিনি বিশাল অংকের কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
এবার প্রকাশ্যে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প করযোগ্য আয়ের পরিমাণ কম দেখাতে তার মেয়ে ইভানকাকে পরামর্শক হিসেবে দেখিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১০-২০১৮ সাল পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যয় করেছেন ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ডলারই গেছে মেয়ে ইভানকা ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টে। আর এভাবে তিনি পরামর্শ ফি বাবদ একটি মোটা অংকের অর্থ ব্যবসায়িক ব্যয় হিসেবে দেখিয়েছেন।
যদিও কর বিবরণীতে পরামর্শকদের কোনও পরিচয় উল্লেখ নেই। কিন্তু ২০১৭ সালে ইভানকা ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন, তখন তার দেওয়া সেই আর্থিক বিবরণীর সঙ্গে এই গোপন কর নথি মিলিয়ে দেখলে এর প্রমাণ মেলে।
সে সময় ইভানকা জানান, তিনি তার মালিকানা রয়েছে এমন একটি পরামর্শক সংস্থার কাছ থেকে ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৬২২ ডলার ফি হিসেবে পেয়েছেন। হাওয়াই ও ভ্যাংকুভারে ট্রাম্প অরগানাইজেশনের মালিকানাধীন হোটেল প্রকল্প থেকে ঠিক এই পরিমাণ অর্থই পরামর্শক ফি হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। অথচ ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন কোম্পানিতে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যুক্ত রয়েছেন ইভানকা। ফলে তিনি সেই প্রকল্প থেকে পরামর্শক ফি নিয়েছেন, যার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে তিনি রয়েছেন এবং যার লভ্যাংশের একটি অংশ যায় তার পকেটে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত দুটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে ইভানকা ট্রাম্প একই সঙ্গে দুটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। নিজের বাবার মালিকানাধীন কোম্পানিতে তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত বড় কর্মকর্তার ভূমিকায় যেমন ছিলেন, তেমনি ছিলেন পরামর্শকের ভূমিকায়ও। দুই ভূমিকাতেই বড় অংকের অর্থ তিনি নিয়েছেন। আর এই ভূমিকার কারণে তার বাবা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করযোগ্য আয় থেকে সাড়ে ৭ লাখ ডলার কমিয়ে ফেলতে পেরেছেন।
এ বিষয়ে অবশ্য ট্রাম্প অরগানাইজেশনের আইনজীবীর কাছ থেকে মন্তব্য চেয়েও পায়নি সিএনএন। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ইভানকার নামে পরামর্শক ফি হিসেবে এই অর্থ দেখানোটা অনৈতিক। নিউইয়র্ক টাইমস হয়তো এর চিহ্নটিই কেবল প্রকাশ্যে আনতে পেরেছে। কারণ, ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে পরামর্শক ফি বাবদ ট্রাম্পের দেখানো ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার কোথায়, কার কাছে গেছে, তার কোনও হদিস নেই। ইভানকার অংশটি বাদ দিলে বাকি আড়াই কোটি ডলার কার কাছে গেছে, তার কোনও খোঁজ নেই।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ইভানকা ট্রাম্পের কার্যালয় ট্রাম্পের প্রচার দলের সঙ্গে কথা বলা অনুরোধ করে সিএনএনকে। আর ট্রাম্পের প্রচার দলের মুখপাত্র টিম মারটাগ পুরো বিষয়টিকেই ‘ভুয়া’ আখ্যা দিয়ে উড়িয়ে দেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন