English

40 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

‘অবিলম্বে সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮ এর পূর্ণ বাস্তাবায়ন চাই’

- Advertisements -

মুজিববর্ষের শপথ, সড়ক করবো নিরাপদ, জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২০ উপলক্ষে খানজাহান আলী থানা নিরাপদ সড়ক চাই এর উদ্যোগে ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় শিরোমনি নিজস্ব কার্যালয় নিসচার আহবায়ক শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ ইকবাল হোসেন। সভায় বক্তৃতা করেন মিনা মুরাদ হোসেন, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, মোঃ ফরহাদ হোসেন, শেখ আব্বাস আলী, শেখ আলমগীর হোসেন, শাহ হাফিজুর রহমান, শেখ ইলিয়াস হোসেন, স ম বাবর আলী, সরদার বিল্লাল হোসেন, মোঃ বাহাউদ্দিন শেখ, মোঃ মুস্তাকিন, মিজানুর রহমান, মোল্লা লিমন হসেন, শাহ আল আমিন প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস এম আজাদ হোসেন বলেন, আজ জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস সারা দেশে জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘মুজিব বর্ষের শপথ,সড়ক করবো নিরাপদ’।জাতীর জনকের জন্মশত বার্ষিকীতে তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে এ প্রতিপাদ্য ঠিক হয়েছে কিন্তু সড়ক কতটুকু নিরাপদ? তিনি বলেন, বিআরটিএ’র সর্বশেষ তথ্য মতে দেশে নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা ৪৫ লাখ ২৩ হাজার ৬০০টি। এর মধ্যে ভারী যানবাহন প্রায় ৩ লক্ষ ২০ হাজারের মত। তথ্য বলছে প্রায় ২৪ লাখ চালকের বৈধ কাগজপত্র এবং দক্ষতা নেই।এরমধ্যে প্রায় ২ লাখ ভারী যানবাহন চালকের প্রয়োজনীয় দক্ষতা নেই। দেশে নিবন্ধিত মোটর সাইকেল ৩০ লাখ ৩২ হাজার ৫৫৯টি, এর মধ্যে লালক লাইসেন্স নেই প্রায় ১৬ লাখ চালকের।এরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাকের ডগা দিয়ে অবৈধভাবে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। আর এতে প্রতিদিন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।
তিনি বলেন,তাই মোটরযান নিবন্ধনের সঙ্গে সঙ্গে চালকের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ পরিবহন বিশেষজ্ঞদের। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট’র দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশে ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে চালকের বেপরোয়া ও অতিরিক্ত গতির কারণে। প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের অর্থনীতির যে ক্ষতি হচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে তা মোট দেশীয় উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ২ শতাংশের সমান। বিশ্বব্যাংকের এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, সারাবিশ্বে  সড়ক দুর্ঘটনার কারণে প্রতিবছর ১২ লাখ লোক মারা যায়। আহত হয় আরও ৫ কোটি লোক। যারা মারা যায় তাদের অর্ধেকের বয়স ১৫ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে। তবে এই দুর্ঘটনার ৯০ শতাংশ ঘটে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। এর মধ্যে অধিকাংশ দুর্ঘটনাই ঘটে অতিরিক্ত গতির কারণে। এছাড়া বাজে রাস্তা, যানবাহন যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না করা, নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চালনা এবং সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কে চালক, যাত্রী এবং পথচারীদের জ্ঞান না থাকার কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে ৩০ শতাংশ চালক ভুয়া লাইসেন্সধারী।
এসব থেকে উত্তরণের এবং এসডিজি অর্জনে তিনি বলেন,দেশে মুজিব বর্ষ চলছে।এবছর ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ এর প্রতিপাদ্য বিষয় ঠিক হয়েছে ‘মুজিব বর্ষের শপথ-সড়ক করবো নিরাপদ’। জাতির পিতার প্রতি সম্মান জানাতে দেশপ্রেমী পরিবহণ মালিক-চালক-যাত্রী পথচারী,সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নতুন করে শপথ নিতে হবে এবং পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য এখনই যে পদক্ষেপগুলি নিতে হবে-
১) সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা।
২) আঞ্চলিক ও মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলতে না দেয়া।
৩) ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলতে না দেয়া।
৪) ভূয়া লাইসেন্সধারী চালক নিয়োগ না দেয়া।
৫) দৈনিক ভিত্তিক গাড়ি ইজারা বন্ধ করা।
৬) হেলমেট ছাড়া মটরসাইকেল চলতে না দেয়া।একজনের বেশী যাত্রী না নেয়া।
৭) অতিরিক্ত গতিতে গাড়ী না চালানো এজন্য গতি নিয়ন্ত্রণে সিল মেকানিক কার্যকর করা।
৮) পথচারীদের এবং যাত্রীদের রাস্তা ও গাড়ি ব্যবহার এর যথাযথ নিয়ম-কানুন ধারণা দেয়া বা সচেতন করা।
৯) দক্ষ, ট্রাফিক আইন জানা ও দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন  সচেতন ও সুশৃঙ্খল চালকই পারবে পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা আনতে এবং দুর্ঘটনা হ্রাস করতে তাই দক্ষ, সচেতন, দায়িত্ববান ও পেশাদার চালক তৈরির জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনা থাকা অপরিহার্য।
১০) চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে;
১১) বিআরটিএ’র সক্ষমতা বাড়াতে হবে;
১২) পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে;
১৩) মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্বরাস্তা তৈরি করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন