English

25.9 C
Dhaka
সোমবার, আগস্ট ২৫, ২০২৫
- Advertisement -

মৃতদের স্মরণে আবেগঘন দোয়া নীলা ইসরাফিলের

- Advertisements -

এনসিপি নেতা সারোয়ার তুষারকে জড়িয়ে সৃষ্ট বিতর্কের পর এবার মৃতদের স্মরণে এক আবেগঘন দোয়া পোস্ট করে ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে তা ভাগ করে নিলেন দলটির সাবেক নেত্রী নীলা ইসরাফিল।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ওই দোয়া শেয়ার করেন।

বেশ দীর্ঘ আকারের দোয়াটি সাধারণত মৃত আত্মীয়-স্বজনের জন্য হৃদয়ের সবটুকু আবেগ দিয়ে রবের কাছে একটি প্রার্থনা

মূলত প্রিয়জনদের মৃত্যুর সংবাদ শোনা থেকে শুরু করে যখনই তাদের কথা হয় স্মরণ হয়, তখনই তাদের জন্য চমৎকার এ কথামালা দিয়ে দোয়া করার বিকল্প নেই। দোয়াটির আরবি উচ্চারণ হলো-

اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهِ، وَاعْفُ عَنْهُ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ، وَأَبْدِلْهُ دَاراً خَيْراً مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلاً خَيْراً مِنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجَاً خَيْراً مِنْ زَوْجِهِ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ، وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ [وَعَذَابِ النَّارِ]

বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফির লাহু ওয়ার হামহু। ওয়াফু আনহু। ওয়া আকরিম নুযুলাহু। ওয়া ওয়াসসি মুদখালাহু। ওয়াগসিল বিলমায়ি ওয়াছ ছালঝি ওয়াল বারাদি। ওয়ানাক্কিহি মিনাল খাত্বাইয়া কামা নাক্বায়তাছ ছাওবাল আবইয়াদা মিনাদ দানাসি। ওয়া আবদিলহু দারান খাইরান মিন দারিহি। ওয়া আহলান খাইরান মিন আহলিহি। ওয়া যাওঝান মিন যাওঝিহি। ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা। ওয়া আয়িজহু মিন আজাবিল কাবরি ওয়া আজাবিন নারি।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করুন, তাকে দয়া করুন, তাকে পূর্ণ নিরাপত্তায় রাখুন, তাকে মাফ করে দিন, তার মেহমানদারিকে মর্যাদাপূর্ণ করুন, তার প্রবেশস্থান কবরকে প্রশস্ত করে দিন। আর আপনি তাকে পানি, বরফ ও শিলা দিয়ে ধুয়ে পরিচ্ছন্ন করুন।

আপনি তাকে পাপরাশি থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করুন যেমন ময়লা থেকে সাদা কাপড় পরিষ্কার করা হয়। আর তাকে তার দুনিয়ার ঘরের পরিবর্তে উত্তম ঘর, তার দুনিয়ার পরিবার-পরিজনের বদলে উত্তম পরিবার-পরিজন দান করুন ও তার জোড়ের (স্ত্রী/স্বামীর) চেয়ে উত্তম জোড় প্রদান করুন। আর আপনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিন এবং তাকে কবরের আজাব ও জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা করুন।’

তবে নীলা ইসরাফিল এই দোয়া ঠিক কার বা কাদের জন্য শেয়ার করলেন তা তিনি উল্লেখ করেননি। তাছাড়া এর কমেন্ট বক্সও তিনি অফ করে রেখেছেন।

এর আগে, হাসপাতালের ভর্তি ফরমে স্বামীর জায়গায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের নাম থাকা নিয়ে দলটির সাবেক নেত্রী নীলা ইসরাফিল ‘মিথ্যাচার’ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত ৯ আগস্ট নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে নীলা দাবি করেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় তার অনুমতি ছাড়াই ভর্তি ফরমে স্বামীর নামের জায়গায় তুষারের নাম বসানো হয়। এ ঘটনাকে জালিয়াতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে দাবি করেন তিনি।

তবে প্রমাণস্বরূপ নীলা স্ট্যাটাসের সঙ্গে হাসপাতালের যে ভর্তি ফরম জুড়ে দিয়েছেন তাতে অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। ফরমে পিতা/স্বামী শব্দের পাশে কলম দিয়ে c/o (কেয়ার অব/প্রযত্নে) লেখা হয়েছে। কিন্তু লাল বৃত্ত দিয়ে নীলা অক্ষরটি ঢেকে দিয়েছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে সারোয়ার তুষারকে হেয় করতে এমনটি করেছেন নীলা।

অপরদিকে একই রকম অভিযোগ করেছেন তুষার। নীলার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারিতার অভিযোগে এনে ফেসবুকে তিনি লেখেন, নীলা ইস্রাফিল মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আমাদের অফিসে এসেছিলেন। আমরা পুলিশ ডেকেছিলাম এবং তার পরিচিত মানবাধিকার অ্যাক্টিভিস্ট লেনিন ভাইকে ডেকেছিলাম। পুলিশের উপস্থিতিতে লেনিন ভাইসহ তাকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করি।

তিনি আরও লেখেন, ভর্তি ফরমে কী লেখা হচ্ছে তা তখন খেয়াল করি নাই। সেই সুযোগ ছিল না। ফরম ইন্টার্ন ডাক্তাররাই পূরণ করেছেন। এখন দেখা যাচ্ছে এটা সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সার্কুলেট করা হচ্ছে। 

‘হাসপাতালের ভর্তি ফরমের ফর্মালিটিজের কথা আপনারা সবাই জানেন’ উল্লেখ করে তিনি আরও লেখেন, নারীর ক্ষেত্রে স্বামী/পিতার নাম লিখতে হয়। অথবা যিনি নিয়ে এসেছেন তার নাম লিখতে হয়। এখানে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে care of অর্থে C/O লেখা যেটা লাল দাগের মধ্য দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে এবং প্রচার করা হচ্ছে আমি নাকি স্বামীর ঘরে নিজের নাম লিখেছি। আমি কি পাগল? বাটপারির একটা সীমা থাকা দরকার!

তুষার লেখেন, হাসপাতালে পেশেন্ট যখন আপনি ভর্তি করবেন তখন পিতা বা স্বামীর নাম না জানলে (মনে করেন রোড অ্যাক্সিডেন্ট বা এমন কিছুতে যখন অচেনা অজানা লোকেরা হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি করে দিয়ে আসে) তখন C/O লিখে যে ভর্তি করেছে তার নাম লেখা হয়। এটা হাসপাতালে ভর্তি এক অতি সাধারণ রীতি। স্বামী/পিতার ক্ষেত্রে উপরে টিক চিহ্ন দেওয়ার রেওয়াজ। এসব প্রতারণা ও বাটপারি বন্ধ করতে হবে। 

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/mbll
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন