English

30 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

হিমেল হাওয়া-ঘন কুয়াশায় কাবু লালমনিরহাটবাসী

- Advertisements -

হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় কাবু লালমনিহাটের জনজীবন। কনকনে এই ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। কয়েকদিন থেকে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের ফলে শুরু হয়েছে হাড়কাঁপানো শীত। ভোর থেকেই ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়ছে পুরো এলাকা।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) লালমনিরহাটে বেলা সাড়ে ১১টার দিকেও মেলেনি সূর্যের দেখা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ঠান্ডা।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বেরও তুহিন মিয়া বলেন, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শীতে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি ভুগছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে আলুক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

এছাড়া কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। হার কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তাছাড়া ঠান্ডার কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলের মানুষেরা।

ভ্যানচলক আকবর আলী বলেন, ঠান্ডার কারণে কোনো যাত্রী পাচ্ছি না। তাই ভ্যান নিয়ে বসে আছি। শীতে কাজ না পেয়ে পরিবার নিয়ে কষ্টের দিন পার করছি।

ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, ফকিরপাড়া ইউনিয়নটি সানিয়াজান নদীবেষ্টিত। প্রতিবছর ঠান্ডায় এলাকার মানুষ কষ্টে দিন পার করেন। সরকারি ভাবে ২২০টি কম্বল পেয়েছি যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। আরও কম্বল চেয়ে উপজেলায় আবেদন করছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচ উপজেলায় প্রায় এক লাখ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন