English

31 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
- Advertisement -

মহাস্থানে ফ্লাইওভার নির্মাণে অসতর্কতা ও শ্রমিক নিরাপত্তা না থাকায় বাড়ছে দুর্ঘটনা

- Advertisements -

এলেঙ্গা থেকে রংপুর ৪লেন সড়ক উন্নীতকরণ কাজ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সাল। সড়কটি সচল হলে উত্তরবঙ্গে শিল্প কারখানার প্রসারসহ ভারত-নেপালের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়ন ঘটবে। রংপুর মহাসড়ক থেকে বুড়িমারি ও বাংলাবান্ধা হয়ে ভারত-নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ মহাসড়কটি।

সাসেক এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। ৫বছর পার হলেও প্রকল্পের আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি সন্তোষজনক না হওয়ায় কাজের গতি ছিল কম। সেই হিসেবে ২০২১ সালের আগস্টে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

বর্ষা মৌসুম, কোভিড-১৯ ও জমি অধিগ্রহণ বিলম্বিতর কারণে কাজের অগ্রগতি কম হওয়ায় কাজের সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্পটি টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও রংপুর জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

Advertisements

এদিকে প্রকল্পের সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) বাস্তবায়িত সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ‘এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়ক ৪লেনে উন্নীতকরণ বগুড়ার মহাস্থানগড় বাসস্ট্যান্ডে নির্মিত ফ্লাইওভার নির্মাণে অসতর্কতা ও শ্রমিক নিরাপত্তা না থাকার কারণে দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনা।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটে সৌরভ (৪০) নামের এক শ্রমিক বৈদ্যুতিক শর্টে আহত হয়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ৩ দিন আগেও ওই একই স্থানে ব্রিজের কাজের সময় উপর থেকে পড়ে সুমন মিয়া (১৯) নামের আরেক শ্রমিক সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যায়।

পরে তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।। বর্তমান সে মাথায় ও কমড়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এলাকাবাসী বলছেন কাজের নিরাপত্তা না থাকায় এধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ সতর্কতা ও কাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকলে ভবিষ্যতে এর চেয়েও বড় ধরণের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে।

ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের বগুড়ার জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্মাণ শ্রমিকরা কাজ করছেন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে। প্রায়ই দুর্ঘটনায় প্রাণহানিসহ আহত হচ্ছেন অনেকে।

Advertisements

২০১৪ সালের জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুযায়ী, কাজের সময় একজন শ্রমিকের মাথায় হেলমেট পড়া বাধ্যতামূলক। যারা কংক্রিটের কাজে যুক্ত, তাদের হাতে গ্লাভসও পড়তে হবে।

চোখের জন্য ক্ষতিকর কাজ যেমন ড্রিলিং, ওয়েল্ডিং, ঢালাইয়ের সময় শ্রমিকদের চশমা ব্যবহার বাধ্যতামূলক। ওয়েল্ডার ও গ্যাস কাটার ব্যবহারের সময় রক্ষামূলক সরঞ্জাম যেমন গ্লাভস, নিরাপত্তা বুট, এপ্রন ব্যবহার করতে হবে। ফ্লাইওভারের উপরে কাজ করার সময় শ্রমিকের নিরাপত্তায় বেল্ট ব্যবহারও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একজনের মাথায় হেলমেট থাকলেও বাকিরা এ ব্যাপারে উদাসীন।

মহাস্থান ফ্লাইওভারে কর্মরত শ্রমিকদের একটি বড় অংশ নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়াই কাজ করছেন। ফ্লাইওভারে ওঠা নামা ও কাজের সময় কয়েকজন শ্রমিককে হেলমেট ও নিরাপত্তা বেল্ট ছাড়াই কাজ করতে দেখা গেছে৷ এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ি করছেন সচেতন এলাকাবাসী।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন