English

28 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
- Advertisement -

একটি অনন্য দৃষ্টান্ত: ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচার সম্ভব

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

একটি অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি হলো বাগেরহাটের আদালতে। মাত্র সাত কর্মদিবসে এলো শিশু ধর্ষণ মামলার রায়। বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক শিশু ধর্ষণ মামলার রায়ে একমাত্র আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এই রায়ের মধ্য দিয়ে দ্রুততম সময়ে ফৌজদারি মামলার রায় ঘোষণায় ইতিহাস সৃষ্টি হলো। মাত্র সাত কর্মদিবসে বিচারকাজ শেষ করে, সাত দিনের মাথায় রায় ঘোষণার নজির বাংলাদেশে এর আগে দেখা যায়নি। ধর্ষণের মতো অপরাধ করে যে কেউ রেহাই পাবে না, অপরাধীদের দ্রুত বিচার সম্ভব, তা এই রায়ের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো।
গত ৩ অক্টোবর বাগেরহাটের মোংলার মাকরডোন গ্রামে সাত বছর বয়সী ওই শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই মামলায় গত ১১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোংলা থানার উপপরিদর্শক। পরে ১২ অক্টোবর মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৩ অক্টোবর বাদীপক্ষের ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ১৪ অক্টোবর চিকিৎসক, বিচারিক হাকিম, নারী পুলিশ সদস্য এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ১৫ অক্টোবর আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনে সাফাই সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ১৬ ও ১৭ অক্টোবর সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ১৮ অক্টোবর রবিবার বাদী ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ করে সোমবার রায়ের দিন ধার্য করা হয়। নির্দিষ্ট দিনেই রায়টি এসেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আন্তরিক থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে যে বিচারকাজ শেষ হতে পারে, এটি তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের মামলায় পাঁচজনকে ফাঁসির আদেশ দেন টাঙ্গাইলের জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
গত বছর সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে বাংলাদেশে ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণ-পরবর্তী হত্যা মামলার বিচারের প্রশ্নে নিম্ন আদালতের বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের জন্য হাইকোর্ট একটি সাত দফা নির্দেশনা জারি করেন। দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি, একটানা বিচারকাজ পরিচালনা, সাক্ষীর উপস্থিতি, সেই সঙ্গে সাক্ষীর নিরাপত্তার বিষয়গুলো উঠে আসে ওই নির্দেশনায়।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে এবং পরিবর্তিত আইনে ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুত বিচার করা গেলে অপরাধীদের কাছে যে বার্তা যাবে, তাতে এ ধরনের প্রবণতা কমে আসবে বলে আমরা মনে করি।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন