English

29 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
- Advertisement -

ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে: বাজারে অস্থিতিশীলতা

- Advertisements -
গত বছর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের উচ্চ মূল্যস্ফীতি মানুষকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে। কোনো কোনো পণ্যের মূল্য ২০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পায়। ফলে নিম্নবিত্ত ও স্থির আয়ের মানুষ পরিবারের সদস্যদের পুষ্টি চাহিদার সঙ্গে আপস করতে বাধ্য হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা এ জন্য বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকেই মূলত দায়ী করেছেন।
তাঁদের মতে, এ বছরও বাজার অস্থির থাকতে পারে। তাই পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাজারে যাতে সরবরাহের ঘাটতি না হয়, সেদিকে বিশেষ জোর দিতে হবে।
এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ২০২৩ সালে।
এর জন্য বৈশ্বিক অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, অভ্যন্তরীণ বাজারের গতিবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে না পারা, এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর অতি মুনাফার লোভ, মজুদদারি, সিন্ডিকেট ইত্যাদি কারণ দায়ী।
সবচেয়ে বেশি দায়ী বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষার দায়িত্বে সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সময়োপযোগী পদক্ষেপের অভাব। বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে গত সেপ্টেম্বর মাসে কিছু পণ্যের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। পেঁয়াজ ৬৪-৬৫ টাকা কেজি, আলু ৩৫-৩৬ টাকা কেজি এবং ডিমের ডজনপ্রতি দাম নির্ধারণ করা হয় ১৪৪ টাকা।
কিন্তু বাজার কর্তৃপক্ষীয় আদেশকে পাত্তা না দিয়ে আপন গতিতে ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। তখন কিছু অভিযান চালানো হয়, তাতেও তেমন কোনো ফলোদয় হয়নি। অবশেষে ঊর্ধ্বগতি কিছুটা থামে আমদানি ও সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায়। কিন্তু বাজার এখনো আগের অবস্থায় ফিরে আসেনি। নতুন আলু ও পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করার পরও এখনো আলুর কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকার আশপাশে।
ডিমের দাম এখন পর্যন্ত নির্ধারিত সর্বোচ্চ দামের কিছুটা নিচেই আছে। কখন যে আবার লাফ দেবে কিছুই বলা যায় না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারকে আরো জোর দিতে হবে। উৎপাদন বৃদ্ধি ও আমদানির মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। গত বছর আমাদের বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয় আগস্ট মাসের দিকে। কিন্তু জুন-জুলাই মাসে যদি তা সঠিকভাবে জানা যেত এবং আমদানি বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেত, তাহলে অস্থিরতা চরমে উঠত না।
গত বছর দেখা গেছে, ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরও প্রায় দেড় মাস পর্যন্ত কোনো ডিম আমদানি করা হয়নি।
পণ্যমূল্য স্থিতিশীল বা যৌক্তিক রাখার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি বা উদ্যোগ থাকা প্রয়োজন, যেখান থেকে সার্বক্ষণিক বাজার মনিটর করাসহ বাজার নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলোর কার্যক্রম তদারকি করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে দেশে কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সেসব সংরক্ষণের যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন