English

34 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
- Advertisement -

‘দাফনের’ পাঁচ দিন পর জীবিত ফিরলেন হাসি বেগম

- Advertisements -

ফরিদপুরে হাসি বেগম (২৪) নামের এক গৃহবধূ নিখোঁজের ১৫ দিন পর অর্ধগলিত একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই মরদেহটি হাসি বেগমের বলে শনাক্ত করেন তার মা। পরে তাকে দাফন করা হয়। দাফনের ৫ দিন পর সেই হাসি বেগমকে জীবত উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার ফরিদপুরের সদরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে হাসি বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

হাসি বেগম ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisements

পুলিশ জানিয়েছে, গত ৮ বছর আগে একই উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বড় বাড়ির মোতালেব শেখের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হাসি বেগমের। তাদের হুসাইন নামক ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কথা বলে সদরপুর আসার উদ্দেশে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয় হাসি বেগম।

এ ঘটনায় হাসির বাবা শেখ হাবিবুর রহমান গত ১১ সেপ্টেম্বর সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, তার মেয়ে হাসি বেগমকে হত্যা করে মরদেহ গুম করেছে জামাতা মোতালেব শেখ (৪৫)। পরে দুদিন পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাসির স্বামী মোতালেব শেখ সদরপুর থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন তার স্ত্রী হাসি বেগম নগদ টাকাসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে বাবার বাড়িতে পালিয়ে গেছেন।

এদিকে, গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর এলাকার নাউটানা এলাকায় কচুরিপানার ভেতর থেকে একটি অর্ধগলিত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। পরে নিখোঁজ হাসি বেগমের মা সালমা বেগম মরদেহের কোমরে একটি তাবিজ ও পায়ের একটি আঙুল ছোট থাকায় মরদেহ হাসি বেগমের বলে শনাক্ত করলে ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়ার পর শৌলডুবী মদিনাতুল কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

অপরদিকে, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলা অবস্থায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম ফোন করে তার বাবা-মাকে জানায় সে জীবিত আছে। পরে গতকাল সোমবার সদরপুর থানা পুলিশ হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে জীবিত উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

Advertisements

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. গফফার শিকদার বলেন, ‘এর আগে জানতে পেয়েছি নিখোঁজের পর হাসি বেগমের মরদেহ পাওয়া গেছে। পরে তার পরিবারের লোকজন হাসির মরদেহ দাফন করে। হঠাৎ আবার জানতে পারলাম হাসি বেগম মারা যায়নি।’

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য এখলাছ আলী বলেন, এ রকম একটি ঘটনা লোকমুখে শুনেছি। কিন্তু বিস্তারিত তথ্য জানতে পারিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ বলেন, হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি থানায় আছেন। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন