English

33 C
Dhaka
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
- Advertisement -
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 3

বগুড়ার শিবগঞ্জে জমিজমা নিয়ে বিবাদমান সংঘর্ষে নিহত ১ আটক ৩

বগুড়ার শিবগঞ্জে জমি-জমা নিয়ে ২ পক্ষের বিবাদমান সংঘর্ষে রেহেনা আক্তার মিলি (৪২) নামের ১ গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাট্রা ইউপির নিয়ামতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় পুলিশ ৩ জন কে আটক করেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের আফতার আলী মন্ডলের কন্যা রেহেনা আক্তার মিলি (৪২) এর বিয়ে হয় গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার কামদিয়া গ্রামে। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু নিয়তির লিখন সেখানে মিলির স্বামীর মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর ভাগ্য আবার নতুন করে গড়াতে মিলি তার পিতার বাড়ি শিবগঞ্জের নিয়ামতপুরে আশ্রয় নেয়। পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত মিলি ও তার ভাই ফেরদাউস আলী মন্ডল ২৬ শতাংশ জমি পেয়ে ভোগ দখল পূর্বক ঘরবাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। সেখানে কাল হয়ে ওঠে মিলির চাচাতো বোন রুনা বেগম (৩৫)। তিনি মিলির জমির ওয়ারিশ দাবি করেন।

এনিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘ দিন থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ৬ মার্চেও জমি নিয়ে এক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৭ মার্চ সকালে মিলি বাড়ির বাহিরে এলে তাকে একা পেয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে শামীম, রব্বানী, সিদ্দিক ও রুনা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই মিলির মৃত্যু হয়। এসময় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে শামীম (৫২), রুনা (৩৫), সিদ্দিক (৬০), রব্বানী (৫২) কে গণধোলায় দেয়। আহত অবস্থায় তারা শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে গেলে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন।

এঘটনায়, শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক কুমার দাস (পিপিএম) বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের সুরুতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাদের জন্য ৩ জন কে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য কেউ জড়িত থাকলে তাদের কেউ গ্রেফতার করা হবে।

মহাস্থানগড়ের আড়াই হাজার বছর আগের স্থাপত্য সন্ধানে খনন কাজের উদ্বোধন

অতীত সভ্যতার লীলাভূমি বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ে আড়াই হাজার বছর আগের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য সন্ধানে জাদুঘর এলাকার বৈরাগীর ভিটা প্রতি বছর শীতকালীন সময় খনন কাজ শুরু হয়। কিন্তু গত ২ বছর যাবৎ করোনা মহামারি কারনে খনন কাজ বন্ধ। আগে বাংলাদেশ-ফ্রান্স যৌথভাবে নিদর্শনের সন্ধানে খননকাজ চলতো।

মহামারি করোনা পাশ কাটিয়ে এবার বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর এর অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা এই খনন কাজ শুরু করছেন। এবার কোন বিদেশি নিয়োগ নেই।

জানা যায়, পুরাকীর্তি স্থাপত্য সন্ধানে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিকবিদ কে এন দীক্ষিত ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৬ সালে প্রথম খনন কাজ শুরু করে ছিলেন।

১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সরকার যৌথভাবে খননকাজ পরিচালনা করে আসছেন। পাশাপাশি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নিজস্ব অর্থায়নে খনন করেন।

খননের বিভিন্ন পর্যায়ে পাওয়া গেছে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্ন নিদর্শন। এরই ধারাবাহিকতায় বছরের প্রথমে মঙ্গলবার (১মার্চ) সকাল ৯টায় মহাস্থানগড় জাদুঘর এর দক্ষিণপাশে বৈরাগী ভিটা নামক ঢিবিতে খননকাজের উদ্বোধন করেন, রাজশাহী ও রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোছাঃ নাহিদ সুলতানা।

কি উদ্দেশ্যে খনন কাজ করা হচ্ছ? জানতে চাইলে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর রাজশাহী ও রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের এই পরিচালক ড. মোছাঃ নাহিদ সুলতানা জানান, প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্য খুঁজে বের করে স্থান, বস্তু চিহ্নিতকরণ ও নথিভুক্তকরণ এবং বস্তু ও কাঠামোর বিজ্ঞানসম্মত সংরক্ষণ ও তা জনসমক্ষে উপস্থাপন করায় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ অর্থাৎ আমাদের মূল উদ্দেশ্য। শুধু তাই নয়, এখানে খননের সময় যদি কোনো প্রত্নবস্তু পাই সেটি কিভাবে পেলাম, সেটি কোন সময়ের হতে পারে, তার ওজন কত, তার উচ্চতা, তার রং কি, তার নাম, কতটুকু মাটির নিচে পেলাম, কোন অঞ্চলের, এভাবে খুঁটিনাটি সব উল্লেখ থাকবে।

খননকাজে কত জন শ্রমিক কাজ করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত স্থানীয় ১৫/২০ জন শ্রমিক রয়েছে। এরা অনেক আগে থেকেই এই খননকাজ করেন। খনন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে দেশীয় যন্ত্ৰাংশ খাইতি, কুর্ণী, কোদাল ও ব্রাশ। তিনি আশাবাদী যে উৎখনন শুরু করলে এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নবস্তুর ও স্থাপত্যের সন্ধান সহজে পাওয়া যাবে।

একটি সূত্রে জানা যায়, বর্তমান বৈরাগীর ভিটা খনন প্রস্তুতি স্থানের পাশে ২০১৭ সালে খননের পর প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন মেলে। ওই খনন স্থানের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে খননকালে ৮টি কূপের সন্ধান মিলেছিল। পাশাপাশি বেশকিছু মৃৎ পাত্র, মৃৎ পাত্রের ভগ্নাংশ, মাটির বড় একটি ডাবর (মটকা) পাওয়া যায়।

খননস্থলে পাওয়া স্থাপত্য কাঠামো ও উত্তরাঞ্চলীয় উজ্জ্বল চকচকে কালো মৃৎপাত্র (এনবিপিডাব্লিউ) দেখে খননকাজে নিয়োজিতদের ধারণা ছিল এসব খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক থেকে পরবর্তী ১৪০০-১৫০০ শতকের। এছাড়াও ৬ফুট খননে ৪৬ সারি ইটের গাঁথুনি বিশিষ্ট কূপের সন্ধানও মিলে।

সেই হিসাবে ধারনা করা হয় ১৩০০ বছর আগে এ অঞ্চলে ইটের গাঁথুনি বিশিষ্ট কূপ থেকে মানুষ পানি সংগ্রহ করে ছিলেন। মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানা বলেন, মহাস্থানগড় সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত। বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি নগন হলো মহাস্থানগড়। প্রসিদ্ধ এই নগরী ইতিহাসে পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামেও পরিচিত। যেকারনে এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল।

প্রাচীর বেষ্টিত এই নগরীর ভিতর রয়েছে বিভিন্ন আমলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত এ স্থান মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন শাসকবর্গের প্রাদেশিক রাজধানী ও পরবর্তীকালে হিন্দু সামন্ত রাজাদের রাজধানী ছিল। এই পুরাকীর্তির ইতিহাস সন্ধানে পূর্বের মতোই বৈরাগীর ভিটা খননকাজের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আজ তার প্রথম দিবসে উদ্বোধন করা হলো। রাজিয়া সুলতানা আরও বলেন, খননকালে প্রত্নস্থান থেকে আমরা যদি কোন প্রকার প্রত্নবস্তুু পাই সেটাকে নানা প্রকার পদার্থ দ্বারা এটিকে তার সাথে মানানসই করে সেটি সংরক্ষণে ঊর্দ্ধোতন কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শক্রমে কোন একটি জাদুঘর বা প্রত্নতাত্ত্বিক দর্শনীয় জায়গায় রাখি।

প্রায় ১ মাসের লক্ষ্য নিয়ে এই উৎখনন সম্পাদনের কাজ শেষ করা হবে। দেশবাসীর জন্য বিশেষ একটি চমক রয়েছে বলে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক ড. নাহিদ সুলতানা জানান, মহাস্থানগড় থেকে ৩বছরে উদ্ধার হওয়া প্রত্ন নিদর্শন দিয়ে মার্চ মাসের শেষের দিকে মহাস্থানগড় এই বৈরাগী ভিটায় দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত একটি প্রদর্শনী মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। যা বর্তমান প্রজন্মরা দেখে আকৃষ্ট হয়ে এর ইতিহাস জানতে উদ্বুদ্ধ হবে। খনন উদ্বোধন আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর প্রধান নকশা অঙ্কনকারী, আফজাল হোসেন মন্ডল, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহকারী কাস্টোডিয়ান, এস, এম হাসানাত বিন ইসলাম, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আলোকচিত্রকর, আবুল কালাম আজাদ, মোঃ মুর্শিদ কামাল ভূঁইয়া প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার মুর্শিদ কামাল ভূঁইয়া প্রমূখ।

ক্যান্সারে পিতার মৃত্যু, ৬ বছরেও মায়ের মিলেনি বিধবা ভাতা, অর্থাভাবে ২ ছেলের পড়ালেখা বন্ধ

জন্মিলে মৃত্যু হবে এটাই স্বাভাবিক। এ স্বল্প জীবনের নানা প্রবাহে জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় আরো অন্যান্য জীবন এবং প্রতিটা সম্পৃক্ততায় সৃষ্টি হয় আবেগ ও ভালোবাসাময় স্মৃতির। এ স্মৃতির টানেই মানুষ কষ্ট পায় প্রিয়জনের হঠাৎ প্রস্থানে কিংবা অকাল প্রয়াণে। মানুষের প্রতি প্রিয়জনের এ টান, এ ভালোবাসা চিরায়ত ও শাশ্বত।

এমনই এক বাস্তবতার মৃত্যু দিয়ে জন্ম দিয়েছিল ৬বছর আগে। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক মহাস্থান দক্ষিণপাড়া গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দীন এর মেয়ে সিমা বেগম। প্রায় ১০ বছর পূর্বে বিয়ে হয় শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউপির আমজানী কুড়িপাড়া গ্রামের মৃত আছতুল্লাহ ফকিরের পুত্র মকবুল হোসেন এর সাথে। বিয়ের পর সাদিক হাসান নামের ১টি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। স্বামী সন্তানদের নিয়ে সুখে শান্তিতেই ছিল সিমা বেগমের সংসার।

কিন্তু সীমাহীন সুখের সময় তাদের পরিবারে নেমে আশে একটি কালবৈশাখী ঝড়। বিয়ের ৪ বছরের মাথায় সীমার স্বামী মকবুল হোসেনের দেহে বাসা বাঁধে ঘাতক ব্যাধি ক্যান্সার। ক্যান্সারে যখন সীমাদের পরিবারে শোকে কাতর সেই মুহূর্তে সীমার সংসারে জন্ম নেয় ২য় পুত্র সিয়াম। এদিকে ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বামীর শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে আসছে। চোখের সামনে চলে যাচ্ছে তরতাজা স্বামীর প্রাণ। ব্যয় বহুল চিকিৎসা করেও কোন ফলস্বরূপ নেই।

ওই যে বলে ক্যান্সারের নেই কোন অ্যানসার!! সংসারে গরু ছাগল যা ছিল সব শেষ। অবশেষে মকবুল কে মৃত্যুর কাছেই হাড় মানতে হয়। মকবুলের মৃত্যু আর সিমা বেগম কান্নায় ভেঙে পড়ে প্রিয়জন হারানোর শোকে। যে গৃহে কোনো মানুষ মারা যায়, সে গৃহে নেমে আসে শোকের মাতম, আহাজারি আর গগনবিদারী আর্তচিৎকার। মৃত্যু অবধারিত, একদিন মৃত্যুর কড়াল গ্রাস সবাইকেই গ্রাস করবে, এতে কেনো সন্দেহ নেই এবং এ থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই। কিন্তু অকাল মৃত্যু ও অপ্রত্যাশিত মৃত্যু বড়ই বেদনাদায়ক।

ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস বড় পুত্র সাদিক হাসান ৪ বছর বয়সে পিতাকে দেখলেও ছোট পুত্র সিয়াম জন্মের প্রায় ৬ মাস পর থেকে কখনো বাবার চেহারাটা দেখেনি। এখন বড় ছেলে সাদিকের বয়স প্রায় (৯) বছর আর সিয়ামের বয়স (৬) বছর। বড় ছেলে সাদিক ৩য় শ্রেণীতে পড়লেও অর্থাভাবে ছোট ছেলে সিয়াম স্কুলে যেতে পারছে না।

তাদের পিতার মৃত্যু একে একে কেটে গেছে যন্ত্রণাময় দীর্ঘ ৬বছর। এতদিনে তারা বুঝতে শিখেছে বাবার আদরের শূন্যতা। এই প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলছিলাম সাদিক ও সিয়ামের সাথে। ২ ভাই খুব চাঞ্চল। কথাবার্তার এক পর্যায়ে তাদের বাবার কথা বলতেই ছলছল করে ওঠে অবুঝ ২শিশুর মায়াবি দুই চোখ। গাল বেয়ে ঝরে ফোঁটা ফোঁটা নোনা জল। তাদের এই বোবা কান্নায় স্পষ্ট ফুটে ওঠে পিতৃহীন শৈশবের অব্যক্ত গল্প। বড় ভাই সাদিকের কান্না দেখে ছোট ভাই সিয়ামেরও ছলছল চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। চোখের পানি মুছে চাপা কষ্ট লুকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে দুই ভাই। অর্থাভাবে ভাল খাওয়া, ভাল পড়া, এমনকি ঠিক মত পড়ালেখাও হচ্ছে না। জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি তারা। মা, সিমা বেগম একটি বিধবা ভাতার জন্য কৃষক পিতা জালাল উদ্দীন কে নিয়ে জনপ্রতিনিধি সহ অনেক মহলে যোগাযোগ করলেও আজও জোটেনি একটি বিধবা ভাতার কার্ড।

বরং মোকাতলার এক টাউট বাটপার বিধবা ভাতার কার্ড দেওয়ার নামে সিমার কষ্টের ১ হাজার টাকা নিয়েছে। সিমার পিতা জালাল উদ্দীন ওই বাটপারকে ফোন দিলে পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখে। সিমার পিতা জালাল উদ্দীন বলেন, আমার বাড়ি ছাড়া দামি কোন সম্পাদক নেই।

কৃষিকাজ করে যা উপার্জন করি তা দিয়ে নিজে চলি ও মেয়ে আর নাতিদের দেখভাল করি। খুবই চিন্তা হয় জীবনের শেষ সময়ে এসে যদি নাতিদের জন্য কিছু করে যেতে পারতাম তাহলে মরলেও শান্তি পেতাম। তাই শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম সম্পা উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু ও মোকামতলা ইউপির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আহসান হাবীব সবুজকে একটি বিধবা ভাতা কার্ডের জন্য পরিবারটি আকুল আবেদন জানিয়েছেন।। সেই সাথে সরকারি অন্যান্য সুযোগ সুবিধার সহযোগিতাও চেয়েছেন।

শিবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ আসামী গ্রেপ্তার

বগুড়ার শিবগঞ্জের কিচকে চাঞ্চল্যকর ট্রাক শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত মামলার ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। তারা এই হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী।

জানা যায়, শনিবার (২৬ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কিচক বন্দর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩টি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়।

তথ্যটি নিশ্চিত করেন শহিদুল হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইমরান হোসেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো, শিবগঞ্জের ধোপাকুর এলাকার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে তারিকুল (৩৪) এবং বেলাই কেকাড়পাড়া এলাকার মৃত আছব আলীর পুত্র আমিরুল (৪০)।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন কিচক ট্রাক শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম। তিনি আন্তঃজেলা ট্রাক সমবায় সমিতি কিচক বন্দর শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ঘটনার পর নিহত শহিদুলের ভাই আনিছুর রহমান কিচক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদসহ ১১জনের নাম উল্লেখ করে শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এবিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক কুমার দাস (পিপিএম) বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের জেল হাজুতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী অন্য আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের অভিযান চলছে।

একুশে বই মেলায় বগুড়া নিসচা জেলা কমিটির লিফলেট বিতরন ও দুর্ঘটনারোধে ক্যাম্পেইন

বগুড়ায় একুশে বই মেলায় নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) জেলা কমিটির সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ক লিফলেট বিতরন ও মেলায় আগত দর্শনার্থীদের সচেতন করতে দুর্ঘটানারোধ কল্পে বিশেষ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে বগুড়ার ঐতিহাসিক সাতমাথাস্থ শহীদ খোকন পার্কে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম সোহাগের সভাপতিত্বে চালকদের বলা হয়, আপনাদের জানতে হবে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করা যাবে না। জেব্রাক্রসিংয়ের ওপর দিয়ে পারাপারের সময়সময় সর্বাত্মক সতর্ক থাকতে হবে। ক্রসিংয়ে পথচারীদের পারাপারে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না।

এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনারোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কেবল ড্রাইভারই কি সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী? আমাদের পথচারীরাও কম দায়ী নয়। রাস্তায় যখন দেখি কোনো নারী একটি বা একাধিক শিশু নিয়ে কোনোদিকে খেয়াল না করে মহাসড়ক পারাপার হয় তখন ভয়ে আমারই বুক কাঁপে৷

আমাদের সবাইকে এই বিষয় গুলো মেনে সড়ক পথে চালাচল করতে হবে। পরে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের হেলমেট পড়ার আহবান করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাগুড়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী শিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন, প্রকাশনা সম্পাদক ইমরান তালুকদার নিপু, সাধারণ সদস্য শফিকুল ইসলাম, তারাজুল ইসলাম সাদিক প্রমুখ।

মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মাঝে নিসচা বগুড়া জেলা কমিটির পক্ষ্য থেকে সচেতনমুলক লিফলেট ও নতুন বছরের ক্যালেন্ডার বিতরণ করা হয় এবং সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার আহবান জানানো হয়।

বগুড়ার মহাস্থানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পিতা নিহত, পুত্র আহত

বগুড়ার মহাস্থানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মুকুল (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে তার (৬) বছরের শিশু পুত্র মোহিন হোসেন।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া রংপুর মহাসড়কের মহাস্থান হাতিবান্ধা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মুকুল বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের মহাস্থান পূর্বপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের পুত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল সাগে ৯টার দিকে মুকুল তার এ্যাপাচি মোটরসাইকেল যোগে ছেলেকে নিয়ে একই এলাকায় শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছিলেন। (ঢাকা-রংপুর) মহাসড়কের হাতিবান্ধা নামক এলাকায় পৌছিলে রংপুর দিক থেকে আসা একটি পাথরবোঝাই ট্রাক মোটরসাইকেলের সামনের দিকে চাপা দেয়।

এসময় ছেলে মোহিন মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও মোটরসাইকেল আরোহী মুকুলের মাথা থেঁতলে হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এসময় আহত হয় তাঁর পুত্র মোহিন। পরে আহত অবস্থায় শিশুটিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নেন।

নিহত মুকুল সে মহাস্থান ডাকবাংলো রোডে ইলেকট্রনিকস এর দোকান করতেন। নিহতের খবর নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন লালু বলেন, শুনেছি দ্রুত গতির একটি পাথরবোঝাই ট্রাক মুকুলের মোটরসাইকেল কে চাপা দেয় এতে মুহূতেই মুকুল মারা যায় আহত হয় তার শিশু পুত্র। পরে ওই অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নেওয়া হয়। ব্যবসায়ী মুকুলের আকষ্মিক মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বগুড়ার মহাস্থানে বেশকিছু এলাকায় মাদকের হাট বাজার

মাদকের হাট বাজারে পরিনত হয়েছে বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানের বেশকিছু এলাকা। সাম্প্রতিক বগুড়ার মহাস্থানে আবাসিক বোর্ডিং এর অন্তরালে জমজমাট দেহব্যবসা একাধিক বার পত্র পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশের পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা এখন বন্ধ। কিন্তু মহাস্থানগড় যার পাদদেশে শায়িত আছেন বিখ্যাত ওলীয়ে কামেল হযরত শাহ সুলতান (রহঃ)। এ অতীত সভ্যতার লীলাভূমি হযরত শাহ সুলতানের পবিত্র মাজারের চতুর্পাশে মাদকের আঁকড়া করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে এমনটাই মনে করছেন সচেতন এলাকাবাসী। বিশেষ করে গড়মহাস্থান মালখালি ও শালবাগান এলাকায় প্রতিদিন প্রকাশ্যে কেজি কেজি গাঁজা বিক্রি হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের (২৯ আগস্ট) রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় শিবগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান এলাকা থেকে সাড়ে ৯ কেজি গাঁজাসহ ৩জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই সাড়ে ৯ কেজি গাঁজার নেপথ্যে ছিল মালখালি এলাকার মাদকের গডফাদার যার নাম প্রকাশ করে সংবাদের শিরোনামে আনা হয়েছিল। তারপরেও প্রশাসনের কোন হস্তক্ষেপ দৃশ্যমান চোখে পড়েনি। একটি সূত্র জানায়, প্রতিদিন বিকাল থেকে মালখালি হঠাৎ পাড়া নামক স্থানে প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি হয়। গাঁজা কিনতে সেখানে মাদক সেবীদের সিরিয়াল বলে দেয় কতটা বেপরোয়া।

বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মালখালি তথা মহাস্থানগড়ে ভ্রমনে আসা দর্শনার্থীদের সাথে অভিনব কায়দায় মিশে যায় মাদক ক্রেতা-বিক্রেতারা।

চতুর্দিক রাস্তার যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এখানে পুলিশ অভিযান চালালেও তার আগেই খবর পেয়ে সটকে পড়ে মাদক ক্রেতা ও ব্যবসায়ী। বুধবার (১৬ফেব্রুয়ারী) সরজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাত্র ৪/৫জন মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে নিয়ন্ত্রণ করছে মাদক ব্যবসা। পাইকারি ও খুচরা গাঁজা বিক্রি করছে। সেখানে নারীদের নিয়োগ দিয়ে গাঁজা ও ইয়াবা সরবরাহ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়- মহাস্থান পশ্চিমপাড়া, মধ্যপাড়া, আকন্দপাড়া, করতোয়া ব্রিজের পাশে ও মহাস্থান মাহীসওয়ার ডিগ্রী কলেজের আশেপাশে ফেনসিডিলের মহড়া কম নয়। উল্লেখ্য এলাকায় ফেন্সিডিল ব্যবসায়ীরা দাপটের সাথে বিক্রি করছে। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না৷

প্রতিদিন এই এলাকাগুলোতে বৈরাগত ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন নিয়ে মাদক কিনতে ভীড় জমায়। এছাড়াও মহাস্থান বোরহান উদ্দিনের মাজারের পাশে মহাস্থানের হাতিবান্ধা নাগরকান্দি মহাস্থান ইসলামি ব্যাংক টাওয়ার নামক স্থানের পিছনে হরদমে মাদক বিক্রি হয়। জানা যায়, এসব এলাকায় মাদকের বড়বাবুরা সেবনকারীদের হাতে মাদক নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রয়েছে ৪/৫ জন করে বিশ্বস্ত এজেন্ট তথা সরবরাহকারী।

মোবাইলে যোগাযোগ করে তারা চাহিদামত পৌঁছে দেয় গাঁজা ফেন্সিডিল, ইয়াবা ও হেরোইন। সারাদিন টুকটাক বিক্রি হলেও মূলত বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মূল বেচাকেনা।

অনেক মাদক ব্যবসায়ী আবার পুলিশের হাতে কয়েকবার আটক হলেও আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আবার তাদের ব্যবসা শুরু করে। এলাকাবাসী যুব সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরতে শিবগঞ্জ থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস (পিপিএম) ও জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী (বিপিএম) বার এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মহাস্থানে মহাসড়ক কাজের সরঞ্জাম চুরির সময় জনতার হাতে চোর আটক

উত্তরবঙ্গ থেকে চতুর্দেশীয় সড়ক যোগাযোগে ছয় লেনের (চার লেনের দুই ধারে ছোট যান চলাচলে দুই লেন) জাতীয় মহাসড়ক নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। যা চতুর্দেশীয় সড়ক যোগাযোগের নতুন দিগন্তের মাইল ফলক হিসেবে উন্মোচন করছে। জানা যায়, সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্প-২ এর আওতায় এই সড়কের দৈর্ঘ টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল ও বগুড়া হয়ে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ দশমিক ৪ কিলোমিটার নির্মান করা হচ্ছে।

এই সড়ক ঢাকা থেকে রংপুর পর্যন্ত দ্রুত এবং নিরাপদ যাত্রার পথ সুগম হবে। বিচ্ছিন্ন কিছু কাজ বাকি আছে। এরইধারাবাহিকতায় সাসেক-২ প্রকল্পের উত্তরবঙ্গ বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানে মহাসড়কের কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। মহাস্থান ত্রি-মোহনী নামক স্থানে নির্মান করা হচ্ছে আন্ডারপাস ফ্লাইওভার ব্রিজ। ব্রিজকে ঘিরে ভিতরে মজুদ করা হয়েছে মূল্যবান রড, পাইপ সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। আর এখানেই পড়ে চোরদের হানা। প্রায় দিনই শোনা যায় এখান থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কাজের সামগ্রী।

এরপর অনেকটা তৎপর হয়েও ঠেকাতে পারেনা এখানকার দায়িত্বরত নৈশপ্রহরী ও অন্যান্য পদস্থের কর্মচারীরা৷ কারন অনুসন্ধানে দেখা যায়, চোরদের সহজ পথ হলো মহাস্থান আন্ডারপাস ফ্লাইওভার এর পাশেই ৩টি ভাংড়ির দোকান রয়েছে। আন্ডারপাস থেকে ছুড়ে ফেললেই যেনো হাত বদল হয়ে যায়। পরিশেষে কপাল পুড়লো চোরের। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ২চোর রাস্তার ঢালাই কাজে ব্যবহারিত বিশাল একটি ওজনের লোহার পাটা চুরি করে অভিনত কায়দায় (শানমেশিন) দ্বারা কেটে টুকরা টুকরা করার সময় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের রাস্তার কাজের কর্মচারী বলে দাবি করেন।

একপর্যায়ে তাদের গতিবিধি পুরোপুরি সন্দেহ হলে এলাকাবাসী রাস্তার কাজে প্রধান সংশ্লিষ্টদের জানান৷ বিষয়টি ২ চোর শোনার পর দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে একজন কে এলাকাবাসী ধাওয়া দিয়ে আটক করেন। এবং ওপর জন পালিয়ে যায়৷ পরে মামুনুর রশিদ (২৮) নামের এক চোরকে আটক করে রাতেই বগুড়া সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তার বাড়ি মোকামতলা ইউপির চকপাড়া গ্রামে।

এবিষয়ে সাসেক প্রকল্পের এক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘ দিন থেকে আমাদের কাজের মালামাল চুরি হচ্ছে। এর আগে মহাস্থানের ৩টি ভাংড়ি দোকানকে আমাদের চোরা মালামাল কিনতে নিষেধ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন চোরের নামও আমরা জেনেছি। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বগুড়ায় ডিবি পুলিশের অভিযানে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী (বিপিএম) সেবা এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী (বিপিএম) এর তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি’র ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ এর নেতৃত্বে টিম ডিবি বগুড়ার মাদক বিরোধী অভিযানে ১কেজি গাঁজাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ৮ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হয়।

এসময় রেজাউল করিম(৩৯) এর বসত বাড়ির গেটের সামনে থেকে ১ কেজি গাঁজাসহ আব্দুর রশিদ মন্ডল ওরফে (খোকা) এর পুত্র রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী রেজাউলের বিরুদ্ধে বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানায় মামলা রুজু করা করা হয়েছে।

মহাস্থান প্রেসক্লাবে নিরাপদ নিউজের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

নিরাপদ সড়ক চাই এর চেয়ারম্যান জননন্দিত চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন এর সম্পাদনায় দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিরাপদ নিউজ ডটকম এর ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৯ বছর পদার্পণ উদযাপন উপলক্ষ্যে সোমবার সন্ধ্যায় বগুড়ার মহাস্থান প্রেসক্লাব কার্যালয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে বিশেষ আলোচনা সভা ও কেক কর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মহাস্থান প্রেসক্লাবের সভাপতি আনিছুর রহমান মিটুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস (বিপিএম)।

তিনি বলেন, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের সম্পাদনায় নিরাপদ নিউজ ডটকম অনলাইন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। নিরাপদ নিউজ প্রতিনিধিদের নিউজের মান আরও সম্প্রসারণ করে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।

সত্য এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে নিরাপদ নিউজ অনলাইন পত্রিকা ইতোমধ্যে পাঠকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। এধারাবাহিকতা বজায় রেখে পত্রিকাটির উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।

আলোচনা পর্ব শেষে নিরাপদ নিউজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন, (ওসি) দীপক কুমার দাস (বিপিএম) নিরাপদ নিউজের বগুড়া প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী শিপনের ব্যবস্থাপনায়, এসময় উপস্থিত ছিলেন, এসআই বিরঙ্গ, মহাস্থান প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম সাজু, সাধারন সম্পাদক এস আই সুমন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ওবায়দুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ নুরনবী রহমান, প্রচার সম্পাদক সেলিম উদ্দিন, ক্রীড়া ও সাহিত্য সম্পাদক সোহাগ মাহবুব, কার্যনির্বাহী সদস্য প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল বাছেত, ইকবাল হোসেন, সাধারন সদস্য, আমিনুল ইসলাম, আব্দুল বারী, তাহেরা জামান লিপি, আব্দুর রহিম, আব্দুল হান্নান টগর প্রমূখ।