English

39 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করুন: অবৈধ ইটভাটার ছড়াছড়ি

- Advertisements -
বাংলাদেশে পরিবেশদূষণের মাত্রা অনেক বেশি। বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, প্রতিবছর প্রায় এক লাখ মানুষ মারা যায় পরিবেশদূষণজনিত কারণে। আর পরিবেশদূষণের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখছে প্রচলিত পদ্ধতির ইটভাটা। এগুলোর মধ্যে একটি বড় অংশই লাইসেন্সহীন বা অবৈধ।
এরা পরিবেশ আইনে বর্ণিত নিয়ম-কানুন মানে না বললেই চলে। পরিবেশবাদীরা দীর্ঘদিন ধরেই এসব ইটভাটা বন্ধের জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন। উচ্চ আদালত থেকেও একাধিকবার অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অবৈধ ইটভাটা বন্ধ হচ্ছে না।
বরং সংখ্যায় বাড়ছে। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ফসলি জমিতে, আবাসিক এলাকায় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে কমপকে ১৫টি ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। আইন অনুযায়ী এসব জায়গায় ইটভাটা করা যায় না। জানা যায়, এসব ভাটার প্রায় সবই অবৈধ এবং আইন-কানুনের কোনো তোয়াক্কা করে না।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী আবাসিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা সদর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি, কৃষিজমি, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকাসহ আরো কিছু স্থানের সীমানার অভ্যন্তরে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না এবং কোনো কর্তৃপক্ষ অনুমতি, লাইসেন্স বা ছাড়পত্র দিতে পারবে না।আইনে বলা হয়েছে, সরকারি বনাঞ্চলের সীমানা থেকে দুই কিলোমিটার এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে এক কিলোমিটারের কম দূরত্বে ভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু ভালুকার বেশির ভাগ ইটভাটাই দূরত্বসীমা কিংবা অন্যান্য নিয়ম-কানুন মানছে না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বা অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশেই রয়েছে অনেক ইটভাটা। শুধু ভালুকা নয়, সারা দেশেই দেখা যায় এমন অনিয়ম।
নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কৃষিজমিতে গড়ে উঠেছে ইটভাটা, কয়লার বদলে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে, ফসলি জমির টপ সয়েল বা ওপরের মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে, ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকর ড্রাম চিমনি ইত্যাদি। সমস্যা হচ্ছে, যাঁদের এসব দেখার কথা, তাঁরা বিশেষ কারণে দেখেও না দেখার ভান করেন।
অনেক ভাটামালিকের দাবি, প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করেই ইটভাটা চালাচ্ছেন তাঁরা। তাহলে এ দেশের পরিবেশ রক্ষা করবে কারা?
সম্প্রতি নবনিযুক্ত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, রাজধানীর আশপাশে যে হাজারখানেক অবৈধ ইটভাটা রয়েছে, তার মধ্যে কমপক্ষে পাঁচ শ ইটভাটা আগামী ১০০ দিনের মধ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। তাঁর কথায় আমরা আস্থা রাখছি।
আশা করছি, দ্রুততম সময়ে সারা দেশের সব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধেই অনুরূপ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রচলিত পদ্ধতির ইটভাটার স্থলে পরিবেশসম্মত ইটভাটা স্থাপনে গুরুত্ব দিতে হবে। তার আগে বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন