English

24 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

তিস্তাপাড়ের দুর্গম চরে হাঁটুজল পেরিয়ে চার কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যায় তারা!

- Advertisements -

তিস্তাপাড়ের দুর্গম চরে হাঁটুজল পেরিয়ে প্রায় চার কিলোমিটার হেঁটে বিদ্যালয়ে এসেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া তফশীল দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও পূর্ব হলদিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এভাবেই স্কুলে আসতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তার দুর্গম চরে ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থীকে কাঁদাপানি মেখে স্কুলে আসতে দেখা যায়। শতে তিস্তার পানি কমলেও নৌকা না থাকায় শিক্ষার্থীদের এ দুর্ভোগে পড়তে হয়। ভেজা পোশাকে শ্রেণিকক্ষে বসে পাঠে বসতে হয়েছে তাদের।

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আঁখি আক্তার জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়েছি। তাই কষ্ট করে কাঁদাপানি পেরিয়ে স্কুলে এসেছি।

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সজিব হোসেন জানায়, চার কিলোমিটার দূর থেকে স্কুলে আসি। অনেকটা পথ কাঁদাপানি ও বালুচর পেরিয়ে স্কুলে এসেছি।

এ বিষয়ে পার্টিকে পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মজিবুর আলম বলেন, তিস্তার পেটে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিলীন হলে পরিষদের দুটি কক্ষে স্কুল চালু করা হয়েছে।

পারুলিয়া তফসীল দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র রায় বলেন, তিস্তা চরের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর এভাবে লেখাপড়া করতে হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী বাদশা জানান, বন্যায় জেলায় দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হলে একটি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি চরে অস্থায়ীভাবে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন