English

29 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

মশায় নাকাল সিলেট নগরবাসী

- Advertisements -

সিলেট মহানগরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। রক্তচোষা ক্ষুদ্র এই প্রাণীটি এখন সবার কপালে ভাঁজ ফেলেছে। নগরীর অফিস, বাসা ও দোকান সহ সব জায়গায় রয়েছে মশার আগ্রাসন। মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দিনের বেলায় বন্ধ থাকছে বাসা বাড়ির দরজা-জানালা।এই মৌসুমেও সিলেটে ভয়ঙ্কর চেহারায় ফিরছে মশা। মশার বিস্তার রোধে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নেই কোন উদ্যোগ। মশার বাড়াবাড়িতে সিলেটে বেড়ে গেছে মশারি,কয়েল ও স্প্রের কেনাবেচা।

এই অবস্থায় সিলেট মহানগরের মশা নিধন কার্যক্রম জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ। শীত মৌসুম থাকায় দীর্ঘ দিন থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ছড়া ও নালায় ময়লা আবর্জনা জমে গেছে ফলে এসব স্থানে বাসা বেধেছে মশা।খবর নিয়ে জানা গেছে নগরীর সব এলাকাতেই বেড়েই চলছে মশার উপদ্রব। মশার কামড় খেয়ে অনেকে আবার আক্রান্ত হচ্ছেন মশা বাহিত বিভিন্ন রোগে।

প্রাণী বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষকরা বলছেন সারা পৃথিবীতে অন্তত সাড়ে তিন হাজার প্রজাতির মশার বিস্তার রয়েছে। বাংলাদেশের পাওয়া গেছে ১২৩ প্রজাতির মশার অস্তিত্বের সন্ধান।মশা দিন দিন সংখ্যায় বাড়ছে খুঁজছে খাবার। বাসার মশা ও তার বিচরণের ওপর দীর্ঘ গবেষণায় জানা যায়, একটি প্রজাতির ছাড়া বাকি সবগুলোই রক্তচোষক।এসব প্রজাতির আবার শুধুমাত্র স্ত্রী মশাই রক্তখেকো।

এদিকে নগরীর আখালিয়া, মদিনা মার্কেট, সুবিদবাজার, ফাজিলচিশত, জালালাবাদ, আম্বরখানা, ঈদগাহ, কানিশাইল, দক্ষিন সুরমা, কদমতলী,উপশহর সহ বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত প্রায় এক মাস থেকে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে বেশি।
নগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকার ২৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আফরোজ খান জানান, কিছুদিন থেকে মশার উৎপাত অনেকটাই বেড়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে কয়েল জ্বালিয়েও কাজ হচ্ছে না। তিনি আরো জানান রাস্তার পাশের ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় এগুলো মশার নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে।তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনকে দ্রুত মশক নিধন অভিযান শুরু করার আহবান জানান।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম নিরাপদ নিউজকে জানান, মশক নিধনে আমরা দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আজ থেকে মশা নিধনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় নগরীর ৭, ১২, ১৩,১৫ ও ২১ ওয়ার্ডে মশার ঔষুধ ছিটানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল ওয়ার্ডে মশা নিধন কার্যক্রম চলবে।আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।

ডা. জাহিদ বলেন, স্থায়ীভাবে মশা নিধনের জন্য ও মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে নতুন করে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এটা বাস্তবায়ন হলে ২ বছরের মধ্যে মশার কোন লাভা তৈরী হবে না। এমনটি এ ওষুধ ব্যবহার করা হলে দুই বছরের মধ্যে মশা হবে না।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন